- ৭ খুনের আসামী নূর হোসেনের ভাতিজা বাহিনী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে তার বাহিনী দিয়ে যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭খুনের পর আত্মপোগনে থাকায় ১৬ মাস পর এলাকায় ফিরে এসে এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে নানা ভাবে তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের সহযোগিতায় শুরু করে। তারই অংশ হিসেবে সোমবার রাতে যুবলীগ নেতা তোফায়েলের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে তোফায়েল মুর্মর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎনাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। জানা যায়, সেপ্টেবরের ২৩ তারিখে নূর হোসেনের ভাতিজা ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী শাহজালাল বাদল এলাকায় ফিরে এসে আধিপত্য বিস্তারের নানা অপকর্ম শুরু করে তার বাহিনী নিয়ে। এলাকায় এককভাবে প্রভাব বিস্তারের জন্য ঈদের ৩দিন পর ২৮ সেপ্টেবর নিমাইকাশারী মাদানী নগর এলাকার খান প্যাকেজিংসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এ বিষয়টি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সমঝোতা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। এ ঘটনার পর থেকে ভাজিতা বাদল তোফায়েলকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকায় এককভাবে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে যায়।
গত সিটি নির্বাচনে বাদলের প্রতিদ্বন্দি¦ ছিল তোফায়েল। ৭ খুনের ঘটনার পর বাদল ও তার বাহিনী এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তোফায়েল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এসময় এলাকায় তোফায়েলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে বাদল এতে শংকিত হয়ে পড়ে। আগামী সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে কোন প্রতিদ্ব›িদ্ব না রাখতেই যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে নিশ্চিন্ন করতেই বাদল উঠে পড়ে লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে বটতলা এলাকায় যাওয়ার পথে বাদলের বাড়ির সামনে পৌছা মাত্র কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তোফায়েলের উপর হামলা চালায় বাদল বাহিনী। এসময় তোফায়েলকে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা করা হয়। স্থানীয় লোকজন তোফায়েলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তোফায়েল বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তোফয়েলের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় বিদ্ধুদ্ধ এলাকাবাসী অবরোধ করে সন্ত্রাসী বাদল ও তার বাহিনীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল হোসেনসহ কয়েকজন বাদলের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাদলের বাড়ির সামনে অবস্থান করা তার সহযোগী ৭ খুনের আসামী কালা শাহজাহানের ভাই সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী আসলাম, শেখ ফরিদ, সুরুজ, রিপন, শাহালম, ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম, সানারপাড়ের মোতালিবের ছেলে কিলার জসিম, রাজা মিয়ার ছেলে ইয়াছিন, সাবেদ আলীর ছেলে মনির, বাগমারা মতিউর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান বাপ্পি, সিরাজের ছেলে বাবু, কুনু মিয়ার ছেলে ভাঙ্গারী নবী, বেকারী নুরে আলম, হাত কাটা বুলবুল, মাসুদসহ তার বাহিনীর ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী হামলা করে। এতে তোফায়েলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত যুবলীগ নেতা তোফায়েল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলার পর ঘটনাস্থলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরাফতউল্লাহ বলেন, ‘হামলা নয়, লোকজন বি¶োভ করেছিল। পরে তাদের শান্ত করা হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে।’ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কোন মামলা হয়নি।
Home
/
NATIONAL
/
৭ খুনের আসামী নূর হোসেনের ভাতিজা বাহিনী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
-
Blogger Comment
-
Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)


0 comments :
Post a Comment