ঝিনাইদহে গোসাঁই হত্যাকান্ড !
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ:
শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল মঠ মন্দিরের গোসাঁই শ্যামানন্দ দাসকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী দিপালি। হত্যাকারীরা অস্ত্র উঁচিয়ে তাকেও ভয় দেখায় বলে জানান তিনি।
গোসাই হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে দিপালি বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ি থেকে মাষকলাই তোলার জন্য বের হই।
এসময় ঝিনাইদহ-ঢাকা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল মঠ মন্দিরের কাছে গাছ থেকে ফুল তুলছিল গোসাঁই শ্যামানন্দ। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে এক মোটরসাইকেলে তিন ব্যক্তি আসে। তারা নেমেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনার সময় তারা আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখালে আমি পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেই। এরপর তারা গোসাঁইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত মাগুরার দিকে চলে যায়। দিপালির স্বামীর নাম বাটুল। তিনি ঝিনাইদহের উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামের বাসিন্দা।
গোসাঁই স্যামানন্দ দাসের (৫০) বাড়ি নড়াইল জেলার মশুরিয়া গ্রামে। এলাকায় তিনি বাবাজি হিসেবে পরিচিত। চার বছর আগে নড়াইল থেকে তিনি শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল মঠ মন্দিরে চলে আসেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোরে (১ জুলাই) শ্যামানন্দ দাস মন্দিরের পাশে পূজার জন্য ফুল কুড়াচ্ছিলেন। এ সময় তিন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে তাকে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
এসময় এলাকাবাসী গোসাঁই শ্যামানন্দ দাসকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৭ জুন ঝিনাইদহ শহরের করাতি পাড়া গ্রামের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। তারও আগে গত ১৪ মার্চ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক (৪৭) নামে এক হোমিও চিকিৎসককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। কালীগঞ্জ-গান্না সড়কের কৃষি অফিসের কাছে এই হত্যাকান্ড ঘটে।
Home
/
LOCAL NEWS
/
শ্যামানন্দ হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী দিপালি‘অস্ত্র উঁচিয়ে আমাকেও কোপানোর ভয় দেখায়’ !
-
Blogger Comment
-
Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments :
Post a Comment