সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ২’শ ৫৩জন পুলিশের মধ্যে ১’শ ৫৩ জনই অসৎ- শামীম ওসমান

সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ২’শ ৫৩জন পুলিশের মধ্যে ১’শ ৫৩ জনই অসৎ- শামীম ওসমান

সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ২’শ ৫৩জন পুলিশের মধ্যে ১’শ ৫৩জনই অসৎ- শামীম ওসমান
সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ২’শ ৫৩জন পুলিশের মধ্যে ১’শ ৫৩ জনই অসৎ- শামীম ওসমানসদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সদর উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ২৫লাখ মানুষের নিরাপত্তায় মাত্র ২’শ ৫৩জন পুলিশ রয়েছে। আর এদের মধ্যে ১’শ ৫৩জনই অসৎ। সেই সাথে প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও অসৎ ভাবে কাজ করছেন।পুলিশ প্রশাসনসহ আমাদের সকলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা সঠিকভাবে কাজ করবো কিনা? তা না হলে আমি একাই কাজ করবো। নারায়ণগঞ্জ থেকে মাদক নির্মূল করতেই হবে। সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত উক্ত সভার মূল আলোচ্য বিষয়- ‘মাদক নির্মূল করা’। একেএম শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রধান সমস্যাগুলো সমাধানে আমাদের সকলকে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। কিন্তু কেউ এ সঠিক কাজ করতে রাজি না। জেলার প্রতিটি এলাকায় এখন মাদকের আখড়া গড়ে উঠেছে। আর এগুলো নির্মূল করতে হলে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকেই কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে নারায়ণগঞ্জে চিটাগাং রোড মোড় এবং কাঁচপুর ব্রিজের পরেই মাদক লোড-আনলোড করানো হয়। আর এখান থেকেই প্রতিদিন ৪৩লাখ টাকা লেনদেন হচ্ছে। সকলেই যদি সচেতনভাবে কাজ করতো তবে এগুলো হতো না। কিছু কিছু লোক আছে যারা বড় বড় স্লোগান ও সচেতনকার কথা বলে রাতে অন্ধকারে মাদকের ব্যবসা করছে। ফলে জেলার প্রতিটি এলাকায়ই এখন মাদক বিক্রি চলছে। এটি নির্মূলে যদি পুলিশ কর্মকর্তারা গোপনে এলাকার বিভিন্ন নেতাকর্মী ও অন্যান্য লোকদের সাথে আলোচনা করে তবে অনেকটাই মাদক নির্মূল করা যাবে। সেই সকল লোকদের আস্থা দিতে হবে, তারা মাদক নির্মূলে ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে যে খোঁজ দিবে তা গোপন থাকবে।তিনি আরো বলেন, জেলার অপর সমস্যা হচ্ছে রাস্তায় অটো রিকশা চলাচল। এটি বন্ধের জন্য পর্যাপ্ত চেষ্টা করতে হবে প্রশাসনকে। এতে তাদের যা করণীয় তা করবে। দূর্গা পূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে আলোচনা সভায় শামীম ওসমান প্রতিটি মন্ডপে সার্চিং লাইটের ব্যবস্থা রাখার জন্য নির্দেশ দেন। সেই সার্চিং লাইটের সাথে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেন। এতে জনসাধারণের নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে বলে জানান তিনি। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো: শহীদ বাদল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, ফাতেমা মনির, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান নওশাদ আলী প্রমুখ।





About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :

Post a Comment