পাবনা মানসিক হাসপাতালেই, দশ থেকে ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও ওদেরকে কেউ ফেরত নেয় না
দশ থেকে ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের আর ফিরিয়ে নেননি আত্মীয় স্বজনরা। অন্যদের কাছে বুঝিয়ে দেয়ার নিয়ম না থাকায় মুক্তিও পাচ্ছেন না এই হতভাগ্যরা। সুস্থ্ হয়ে উঠেও বছরের পর বছর ধরে পাবনা মানসিক হাসপাতালেই রয়ে গেছেন ২৩ জন অভিমানী । শুয়ে আছেন এই বেঞ্চেই । পাবনা মানসিক হাসপাতালের পেয়িং বেডের প্রায় স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। দশ বছর ধরে আছেন এখানে । ‘কোথায় যাবেন’ জিজ্ঞেস করলে সে উত্তর দেয় ,‘এখানেই থাকবো’। পুলিশের সহায়তা নিয়েও তাকে নারায়ণগঞ্জে আত্মীয়দের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।হাসপাতালের সুপারেনন্ডেন্ট ডা: গাজী সাইফুল আলম চৌধুরী জানান, ঠিকানা খুঁজে না পেয়ে কিংবা পরিবার ফেরত নিতে না চাওয়ায় বাধ্য হয়েই তাদের হাসপাতালে রাখতে হচ্ছে।সুস্থ হবার পরও হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডেই ১০ বছর পেরিয়ে গেছে ঢাকার বদির। বদির মতো অনেকেরই খাতায় লেখা ঠিকানায় আত্মীয়দের সন্ধান মেলেনি। এখনো যে ২৩ জন বছরের পর বছর ধরে এই হাসপাতালে আছেন তাদের মধ্যে নারীই সংখ্যায় বেশী, ১৩ জন ।
হাসপাতালই যেন তাদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে । তাদের বেশীর ভাগেরই ভুল ঠিকানা । অভিভাবকরা ঠিকানা পরিবর্তন করলেও খোঁজ রাখেন না হাসপাতালে থাকা আত্মীয়দের । আবার কেউ কেউ পেয়িং বেডের ভাড়া দিলেও নিয়ে যান না এ সমস্যা এড়াতে বর্তমানে রোগী ভর্তির নিয়ম কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন রোগী ভর্তি করার আগে স্বজনদের ভোটার আইডি এবং মোবাইল নম্বর রাখা হয় বলে জানানো হয়। বিশেষায়িত এই হাসপাতাল ২শ’ থেকে ৫শ’ বেডে উন্নীত হলেও জনবল বাড়েনি। মাত্র ৫ জন চিকিৎসক দিয়ে চলা এই হাসপাতালে বাড়তি বোঝা হয়ে আছেন ওই ২৩ জন।
0 comments :
Post a Comment