সিদ্ধিরগঞ্জ সোনারগাঁয়ের ৪ অপসাংবাদিক কদমতলী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের ৪ অপসাংবাদিক এক দেহ ব্যবসায়ীর আস্তানায় গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গ্রেফতার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করার অভিযোগে ঢাকার কদমতলী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে । ধৃতদেরকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা দৈনিক আজকের দেশবার্তা পত্রিকার নামধারী অপসাংবাদিক সৌরভ, মতিউর, সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রীর হেলপার দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার অপসাংবাদিক আলী আক্কাস ওরফে আকাশ ও কাজী সোহেল ওরফে আশিককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলার কদমতলী থানা পুলিশ। তারা গত শুক্রবার বিকেল কদমতলী থানার ধনিয়া এলাকার মোঃ রফিক মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া এক দেহ ব্যবসায়ীর বাসায় গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গ্রেফতার করার ভয় দেখায়। এসময় তারা ওই দেহ ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে ।পুলিশের অভিযান খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন জমায়েত হয়ে তারা কোন এলাকার ডিবি পুলিশ তা জানতে চাইলে তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তখন এলাকাবাসী তাদের আটক করে কদমতলী থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে থানার এসআই এনায়েত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ছুটে গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী ওই ৪ অপসাংবাদিককে গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে দন্ড বিধির ৪৪৮/১৭০/৩৫৪/৩৮৫/৩২৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। যান নং ৭। তারিখ ০২-১০-২০১৫ ইং।আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এনায়েত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ধৃতরা নামসর্বস্ব দৈনিক পত্রিকার পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে সাংবাদিক বনে গিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। ধৃত সৌরভ সিদ্ধিরগঞ্জ নিউজ ক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ শাওনের মামাতো ভাই। সৌরভ শিমরাইল মোড়ে যাত্রীবাহী বাসের টিকিট কাউন্টার ম্যান ছিল। তার মামাতো ভাই শাওনের হাত ধরে সে বনে যায় একাধিকবার গণপিটুনী খাওয়া সম্পাদক ওয়াহিদ মুরাদের শেষ কথা পত্রিকার সাংবাদিক। হীরাঝিল¯’ রজ্জবআলী সুপার মার্কেটে শাওনের অফিসে এক যুবতী নিয়ে ফুর্তি করার সময় হাতে নাতে ধরা পরে ব্যাপক সমলোচনা সৃষ্টি ও একই অফিস থেকে সাংবাদিক খালিদ বিন রাসেলের ল্যাপটপ চুরি করার পর শাওন সৌরভকে তার অফিস থেকে বের করে দেয়। পরে সে দৈনিক আজকের দেশ বার্তা পত্রিকার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে এসকে মাসুদ রানার শেল্টারে সাংবাদিক নামধারী জুব্বা শাহাদাত ওরফে লাদেন শাহাদাত, টিপু, আবদুল হালিম নিশান, আমির হোসেনের সঙ্গীহয়ে বিভিন্ন মাদক ও দেহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থআদায় ও ব্ল্যাকমেইলিং কাছে লিপ্ত হয়। আলী আক্কাস ওরফে আকাশ কাঁচপুর এলাকায় রাজমিস্ত্রীর হেলপার হিসাবে কাজ করতো। কাজী সোহেল ওরফে আশিকের পাল্লায় পড়ে দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার কার্ড সংগ্রহ করে সে সাংবাদিক বনে যায়। মতিউর নিজেই দেহ ও মাদক ব্যবসায়ী। তাই তাকে সাংবাদিক বানিয়ে ওই চক্রটি সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতো। এ চক্রের অন্য সদস্যরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও ডেমরা থানা এলাকার বিভিন্ন ছোট ছোট মিলকারখানা, মাদক ও দেহ ব্যবসায়ীর আস্তানায় গিয়ে চাঁদাদাবি ও ব্ল্যাকমেইলিং করতে গিয়ে একাধিকবার মারধরের শিকার হয়েছে। তার পরও তাদের অপকর্ম বন্ধ হ”েছনা।

0 comments :
Post a Comment