যুবলীগ নেতা তোফায়ালের উপর বাদল বাহিনীর হামলার প্রতিবাধে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, প্রশাসনকে আল্টিমেটাম
৭খুনের পর আত্মপোগনে থাকায় ১৬ মাস পর এলাকায় ফিরে এসে এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে নানা ভাবে বাদল তার বাহিনী নিয়ে এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম শুরু করে স্থানীয় থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিনের সহযোগিতায়। তারই অংশ হিসেবে সোমবার রাতে যুবলীগ নেতা তোফায়েলের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। জানা যায়, সেপ্টেবরের ২৩ তারিখে নূর হোসেনের ভাতিজা ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী শাহজালাল বাদল এলাকায় ফিরে এসে আধিপত্য বিস্তারের নানা অপকর্ম শুরু করে তার বাহিনী নিয়ে ,গত সিটি নির্বাচনে বাদলের প্রতিদ্বন্দি¦ ছিল তোফায়েল। ৭ খুনের ঘটনার পর বাদল ও তার বাহিনী এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তোফায়েল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এসময় এলাকায় তোফায়েলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে বাদল এতে শংকিত হয়ে পড়ে। আগামী সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া ও দলীয় টিকেট না পাওয়ার ভয়ে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না রাখতেই যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে নিশ্চিন্ন করতেই বাদল উঠে পড়ে লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে বটতলা এলাকায় যাওয়ার পথে বাদলের বাড়ির সামনে পৌছা মাত্র কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তোফায়েলের উপর হামলা চালায় বাদল বাহিনী। এসময় তোফায়েলকে কুপিয়ে হত্যার চেস্টা করা হয়। স্থানীয় লোকজন তোফায়েলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তোফায়েল বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সুত্রে প্রকাশ, নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আভ্যান্তরিন কোন্দলের জের ধরে দুটি গ্রুপের মাধ্যে মারামারি হয়। শাহজালাল বাদলের সমর্থক স্বপনসহ কয়েকজন সহযোগী ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুলসহ তিনজনকে মারধর করে। আহত ঐ তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মী ঘটনাটি অবহিত করে ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল হোসেনকে। পরে ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম সাকিবসহ কয়েকজন সোমবার বিকেলে কাউন্সিলর কার্যালয়ে গিয়ে বাদলের কাছে বিচার প্রার্থী হয়। বিষয়টি বাদল দেখবে বলে রাত সাড়ে ৯ টায় সময় বিচারের কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করে । নিধারিত সময় ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম সাকিবসহ কয়েকজন বাদলের কাছে যায় । কিন্তু পুর্ব পরিকল্পনা মতে, বাদল তার বাহিনী নিয়ে নিজ বাড়ীর সামনে অব¯হান করে এবং বিচারের কথা বলে সাকিবের মাধ্যমে যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে ডেকে আনে । এসময় তোফায়েল একই বাদলের বাড়ী সামনে পৌছাঁমাত্র কোনকিছু ভুজে উঠার আগেই দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী বাদল বাহিনী অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, বাদলের নির্দেশে বাদলের সহযোগী স্বপন, রুবেল, পলাশ, ফয়সাল, ৭ খুনের আসামী কালা শাহজাহানের ভাই সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী আসলাম, শেখ ফরিদ, সুরুজ, রিপন, শাহালম, ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম, সানারপাড়ের রাজা মিয়ার ছেলে ইয়াছিন, সাবেদ আলীর ছেলে মনির, বাগমারা মতিউর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান বাপ্পি, সিরাজের ছেলে বাবু, কুনু মিয়ার ছেলে ভাঙ্গারী নবী, বেকারী নুরে আলম, হাত কাটা বুলবুল, ও লিটন মাসুদসহ তার বাহিনীর ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী হামলা করে। যুবলীগ নেতা তোফায়েলসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তোফায়েলসহ ছাত্রলীগ নেতাদের চাপাটি দিয়ে কুপাতে শুরু করে । এতে তোফায়েলসহ গুরুতর আহত ৫ জন । পরে এলাকাবাসী তোফায়েকে উদ্ধার ঢামকে হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি করেন । তোফায়ালের উপর দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী বাদল বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে ২ দফা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড়,বাঘমারা ও নিমাইকাশারী এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় সন্ত্রাসী কাউন্সিলর বাদল ও তার বাহিনকে গ্রেফতার এবং বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে । সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহত তোফায়েলের শরীরের বিভিন্ন অংশে ১৩০ টি সেলাই । এদিকে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের বাড়ীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । বাদল বাহিনী ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ২৭অক্টোবর রাত ১০ টা থেকে সোয়া ১১ পযর্ন্ত বোমা ফাঠিয়ে, বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি কর । এলাকাবাসী তোফায়েলকে কুফিয়ে হত্যার চেষ্টায় হামলা করার প্রতিবাধে ও কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে দুধর্র্র্ষ সন্ত্রাসী কাউন্সিলর বাদলের বাড়ীতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। থানার পিএসআই মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার সকাল থেকে বাদলের বাড়ীতে ডিউটি করছে। মিছিলকারীরা কাউন্সিলর বাদল ও তার বাহিনীর বিচরের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়। বিভিন্ন আল্টিমেটাম দেয় প্রশাসনকে। এতে এলাকায় দেখা দেয় উত্তেজনা। ফলে আইনশৃঙ্গলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে কাউন্সিলর বাদলের বাড়ীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরাফত উল্লাহ।
ওসি জানান, মঙ্গলবার ভোরে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে লিটন (৩০) ও হাসনাত (৩২) নামে দু’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কোন গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জাকারিয়া জানান, কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও তোফায়েল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোন পক্ষই মামলা দিতে থানায় আসেনি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের দু’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জাকারিয়া জানান, কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও তোফায়েল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোন পক্ষই মামলা দিতে থানায় আসেনি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের দু’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।



0 comments :
Post a Comment