সাত খুনের আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা বাহিনীর র্কান্ড
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে প্রধান আসামি করে হয়রানীর উদ্দ্যশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসিকে মোটা অংকে টাকায় ম্যানেজ করে মিথ্যা পাল্টা মামলা দায়ের করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের মা মিনারা বেগম। শাহজালাল বাদলের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বুধবার রাতে তার মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন মামলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা তোফায়েলকে প্রধান আসামি করে যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর (যিনি ঘটনার সময় হাসপাতালে), ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন ও তার ভাই আহত শিব্বীর আহম্মেদ, সমাজসেবক ও চলচিত্রত্র ব্যাবসায়ী সামসুল আলম, ছাত্রলীগ কর্মী হাবিবুর রহমান ও সাকিবসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ২৩ জনের নামে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. সরাফত উল্লাহ জানান, শাহজালাল বাদলের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগে তার মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে তোফায়েলকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হাসনাত (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তোফায়েল ও শিব্বীর আহম্মেদ, এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
উল্লেখ্য গত সোমবার রাতে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে বাদলের সহযোগিরা পেটানোর ঘটনায় সমঝোতার জন্য যুবলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন ছাত্রলীগ নেতাদের ডেকে নিয়ে যায় বাদল। যুবলীগ নেতা তোফায়েল হোসেন, শিব্বীর আহম্মেদসহ ছাত্রলীগ নেতারা বাদলের বাড়ির সামনে গেলে পূর্ব পরিকল্পনামতে,বাদলের নির্দেশে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তোফায়েল ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর এলোপাথারী হামলা চালায়। কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে তোফায়েল হোসেন, শিব্বীর আহম্মেদ, সুজন মাহমুদসহ ৫ থেকে ৬ জনকে। এদের মধ্যে যুবলীগ নেতা তোফায়েল, শিব্বীর আহম্মেদ, সুজন মাহমুদের অবস্থা মারাত্মক। অমানুষিকভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আঘাত করে তাদের রক্তাক্ত জখম করা হয়। বর্তমানে তারা ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এ ঘটনায় আহত তোফায়েলের বোন মেরিনা আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মঙ্গলবার রাতে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হল-নুর হোসেনের দুই ভাই নুর সালাম ( বাদলের বাবা ) ও চাচা বিএনপি নেতা নুরুদ্দিন, চাচাত ভাই সন্ত্রসী রুবেল, ফুফাত ভাই ( মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষনকারী ) ফয়সাল, জুলহাস উদ্দিন লিটন, শুটার আসলাম, পুলিশের র্সোস কুদ্দুস মোল্ল্যার ছেলে স্বপন, সেলিম খান, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান বাপ্পী, দেলোয়ার, আকাশ, শান্ত, জাকির, রতন, জসিম উদ্দিন, ভাঙ্গারী নবী ও শাহিনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন । এদিকে ৩ নং ওর্য়াড়ের এলাকাবাসী অবিলম্বে সন্ত্রাসী বাদল ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মুলুক শাস্তির দাবি জানিয়ে পোষ্টার ও ব্যানার লাগিয়েছে । 



0 comments :
Post a Comment