তিন শ্রমিক নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিকদের কর্মবিরতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মো: মাফুকুর রহমান জ্যাকি॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ তিন শ্রমিক নেতা পুলিশের ধাওয়ায় সড়ক দূঘর্টনায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। এছাড়া সারা দেশে ১ ঘন্টা কর্ম বিরতি পালন করে বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশন। সোমবার দিনগত রাতে নেতাকর্মীরা আলোচনা সভায় এ কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম আসলামের সভাপতিত্বে সহ-সভাপতি মো. শফিউল্লাহ, সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সালাউদ্দিন, তিন নম্বর দক্ষিণ সুহিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. আলকাস ও সেলিম মুন্সী প্রমুখ। তাদের দাবি, হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামানসহ কয়েকজন অসাধু সদস্যের কারণে তিন শ্রমিক নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় না আনা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান। এর আগে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতারা শোকাহত তিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। জেলা ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন মোল্লা জানান, তিন নেতার মৃত্যুতে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে সারা দেশে এক ঘণ্টা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধা বেলা কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। গত সোমবার রাতে বাদ এশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ট্যাংক-লরি মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর খন্দকার (৪২), সাধারণ সম্পাদক আলী আজম রাজু (৪৩) ও দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান মিয়ার (৫২) জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শহরের ঘাটুরা লতিফিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-আশুগঞ্জ আঞ্চলিক ট্যাঙ্ক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার, সাধারন সম্পাদক আলী আজম রাজু ও শাহজাহান মিয়া গত সোমাবার দুপুরে খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ‘চাঁদাবাজি’ করার উদ্দেশ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেড়তলা এলাকায় একটি পাথরবোঝাই ট্রাককে থামার সংকেতে দেয়। ট্রাকটি না থামলে এক পুলিশ সদস্য তার হাতের লাঠি ছুঁড়ে মারলে লাঠিটি ট্রাকের সামনে থাকা অপর একটি মোটরসাইকেলের চাকায় আটকে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে পেছন দিক থেকে ওই ট্রাকটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা তিন শ্রমিক নেতা নিহত হন।

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :

Post a Comment