আশরাফুল আলম আরো বলেন, “দশম শ্রেণি পড়ুয়া শিশু রহিতের উপর নির্যাতনের দৃশ্যই বলে দেয় মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। আজও নির্যাতিত মানুষের বুক ফাটা আর্তনাদে সভ্য সমাজ কেঁপে ওঠে । নির্বিশেষে অনেকে এখনও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে । কখনো পাশবিক নির্যাতন আবার কখনো মানসিক । মোটকথা কোন না কোনভাবে যেন নির্যাতিত হতেই হচ্ছে।”
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর) আরো বলেন, “সভ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার যুগে শিশু নির্যাতন যে কত নির্মম অসভ্যতা এবং মানবাধিকারের লংঘন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে পুলিশ এই ন্যাকারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে অচিরেই তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।অন্যথায় এতে পুলিশের ভাবমূর্তি খুন্ন হচ্ছে।”
"৮ জুন রাতে যশোর কোতয়ালী থানায় রেখে রোহিতের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। পুলিশি নির্যাতনের চিহ্ন তার সারা শরীরে।রোহিতের মা জুলি বেগম বলেন, এসআই বিপ্লব আমার ছেলে রোহিতকে যেদিন ধরে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালান, সেদিন সে রোজা ছিল। কিন্তু নির্দয় পুলিশের তাতেও মন গলেনি। রোহিতকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে পুলিশ মোটা টাকা ঘুষ দাবি করে। পরের দিন ৯ জুন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ায় রোহিতকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।যার অডিও রেকর্ডিং তাদের কাছে আছে।"
ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান আরো বলেন, “শিশু নির্যাতনে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। শুধু আইন ও নীতিমালাই যথেষ্ট নয়, শিশু নির্যাতন রোধে প্রয়োজন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনসহ সমাজ সচেতনতা তৈরিতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।”

0 comments :
Post a Comment