সোর্স মুসা শিকদার পুলিশের হেফাজতে নেই বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শঙ্কিত হয়ে পড়েছে তার পরিবার। তবে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে মুসা সিকদার এখন পুলিশ হেফাজতে আছে বলে জোর দাবি তার স্ত্রী পান্না আকতারের। দুই ছেলে সামির সিকদার (১২) ও সানজু সিকদারও (৯) তাদের পিতাকে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার পিতা ফার“ক সিকদারের রাঙ্গুনিয়ার পারূয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের বাড়িতে আলাপকালে পান্না আকতার বলেন, আমার দুই ছেলে, আমি এবং আমার স্বামীর বন্ধু নূরনবী মুসা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। অথচ পুলিশ আমার স্বামীর গ্রেফতারের কথা রহস্যজনকভাবে অস্বীকার করে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। অথচ আমার স্বামীর পাসপোর্ট আমার হাতে। পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশে যাবে কি করে? পুলিশের নাটকীয় ভাষ্য আমাদের শঙ্কিত করছে। এসময় পান্না আকতার তার দুই ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাক্ষাতের সময় মুসা সিকদারের শ্বশুর ফার“ক সিকদার ও বোন ফেরদৌস বেগম উপ¯ি’ত ছিলেন।
মুসা আটক হওয়ার পুরো বিবরণ দিয়ে পান্না বলেন, নগরীর বন্দর এলাকার একটি বাসা থেকে জিম্মি করে বন্ধু নবীকে দিয়ে মোবাইলে মুসার অব¯’ানের তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে কাঠগর এলাকার একটি রাস্তা থেকে মুসাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত ২২ জুন সকাল ৬টা থেকে১১ টার মধ্যে এই গ্রেফতার অভিযান সম্পন্ন হয় বলে তিনি দাবি করেন।
পান্না আকতার বলেন, আমার স্বামী মুসা সিকদার কোনো অপরাধী নয়। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে চাকরি করেছে। ২০০১ সালে দেশে ফিরে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত হয়। পুলিশ অফিসার বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করে জানতাম। কিš‘ কোনোদিন আমি বাবুল আক্তার সাহেবকে দেখিনি। তবে তার বাসায় আমার স্বামী যাওয়া-আসা করত বলে জানি। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী সোর্সগিরি করলে দোষের কি! এটা অপরাধ দমনে সরকারকে সহায়তা করা। কেন ওরা আমার স্বামীকে মিথ্যা অপরাধে জড়াতে চায়! স্বামীর গ্রেফতারের বিষয়টি দ্র“ত জনসমক্ষে প্রকাশ এবং দোষ করলে আইনের আওতায় এনে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান পান্না আকতার। ইত্তেফাক
-
Blogger Comment
-
Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)

0 comments :
Post a Comment