বাস্তব চিত্র বাসে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ,মন্ত্রীর কাছে ‘অভিযোগ করেননি কেউ’,
প্রতিবেদক : ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের অবস্থা পরিদর্শনে বুধবার সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় কোনো যাত্রী তার কাছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেননি বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। এদিকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বুধবার সকালে মন্ত্রীর পরিদর্শন শেষে চলে যাওয়ার পর কয়েকটি রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা গেছে। কিন্তু মন্ত্রী বাস টার্মিনাল ত্যাগের পরপরই সরেজমিন কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ কয়েকটি রুটে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। মাইজদী যাওয়ার জন্য একুশে পরিবহন বাসের কাউন্টারে অপেক্ষা করছিলেন চাকরিজীবী তাসলিম খান। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৩৫০ টাকা হলেও আজ আমাদের কাছ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। যেহেতু বাড়িতে যেতে হবে এই সুযোগে আমাদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একুশে পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার কামরুল বলেন, ‘৩৫০ টাকা করে ভাড়া হলে যাওয়া আসায় একটা সিটের দাম ৭০০ টাকা। এখন শুধু এখান থেকেই যাত্রী যাচ্ছে আসছে না। প্রতি টিপে আমাদের খরচ হয় ১৬ হাজার টাকা। সেই হিসাবে আমাদের লসই হচ্ছে।’‘আসার পথে যাত্রী পাবেন না বিধায় যাওয়ার সময় দ্বিগুন ভাড়া নিচ্ছেন’ এমন কোনো নিয়ম আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মালিক সমিতির নির্দেশেই এই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।’ঈগল পরিবহন চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় না করলেও ফেনীর যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ৩৫০ এর পরিবর্তে ৪০০ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যাত্রীদের কাছ থেকে ২৫০ এর পরিবর্তে ৩০০ টাকা আদায় করতে দেখা গেছে।একই রুটের গাড়ি ইকোনো পরিবহন ৩৫০ এর স্থলে যাত্রীদের কাছ থেকে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এই পরিবহনটি কুমিল্লার যাত্রীদের কাছ থেকেও নির্ধারিত ২০০ টাকার পরিবর্তে একই ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী।
লক্ষ্মীপুর ও রায়পুরগামী বাস ঢাকা এক্সপ্রেসও ৩৫০ টাকার পরিবর্তে বুধবার দুপুরে ৬০০ টাকা ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এই কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা শাহীন বলেন, ‘যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের গাড়ি নাই। এখন অন্য কোম্পানির গাড়ি ভাড়া করে যাত্রীদের চাহিদা পূরনের চেষ্টা করছি। তাই ভাড়াও বাড়তি নিতে হচ্ছে।’কিছুক্ষণ আগে মন্ত্রী এ কাউন্টারগুলো পরিদর্শন করেন। কিন্তু তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি জানতে চাইলে কুমিল্লাগামী গাড়ির অপেক্ষারত সায়লা আক্তার বলেন, ‘মন্ত্রী এসেছেন কেউ অভিযোগ করেননি, তো আপনারাই দেখুন। অল্প দূরত্বে যেতেই আমাদের কাছ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে সে বিষয়ে দেখার কেউ নেই।’ সরেজমিন দেখা যায়, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের এ সব দূরপাল্লার গাড়িতে আগেই টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় নতুন করে কেউ বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেননি। এ দিন ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে স্বল্পপাল্লার মামুন পরিবহন, হিমাচল পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি পরিবহনের বিভিন্ন গাড়িতে যে যার ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে
।
0 comments :
Post a Comment