ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের রিট খারিজ

ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের রিট খারিজ


মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের রিট খারিজ
 প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে— এমন অভিযোগ এনে পরীক্ষা বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়। রিটে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা স্থগিত করতে আবেদন করা হয়। কিন্তু রবিবার পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে; এ অবস্থায় ফলাফল স্থগিত করা কি সম্ভব— এমন প্রশ্নের জবাবে রিটকারী আইনজীবী বলেন, আদালত চাইলে ভর্তি বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দিতে পারে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে অনুষ্ঠিত মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিলের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রিটকারী এই আইনজীবী। শনিবার দুপুরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবের প্রতি ওই নোটিশ পাঠান তিনি।
শুক্রবার সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এই সপ্তাহজুড়ে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশও দেয় পরীক্ষা তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষ- স্বাস্থ্য অধিদফতর।
‘প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী কাজ হয়েছে’ উল্লেখ করে ওই আইনজীবী বলেন, ‘যারা প্রশ্নপত্র পেয়েছেন তারা পাস করে যাবেন আর যারা প্রশ্নপত্র পাননি তারা বঞ্চিত হবেন। যে প্রশ্নে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, তার সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে।’
রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিলের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে পরবর্তী সময়ে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নিতেও বলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দু’দিন আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ঢাকায় চারজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক এবং একজন একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। মহাখালী ডিওএইচএস থেকে মঙ্গলবার রাতে ওই চারজনকে গ্রেফতারের পর বুধবার তাদের সাংবাদিকদের সামনে আনা হয়। ‘ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের’ পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা এবং এক কোটি ২১ লাখ টাকার ১৩টি চেক জব্দ করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এবার পাসের হার ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :

Post a Comment