শিমরাইল মোড়ে সামাদের চাঁদাবাজী এখনও অব্যাহত


শিমরাইল মোড়ে সামাদের চাঁদাবাজী এখনও অব্যাহত

শিমরাইল মোড়ে সামাদের চাঁদাবাজী এখনও অব্যাহত

x



আদমজী জুট মিলের প্রায়াত রেহান উদ্দিন রেহানের লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান আব্দুস সামাদ বেপারী ওরফে গিরিঙ্গী সামাদের শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজী এখনও অব্যাহত রয়েছে। সিন্ডিকেট করে শিমরাইল মোড়ের নাসিকের ইজারার নামে স্ট্যান্ডের ইজারা তোলার কথা থাকলেও সামাদ বাহিনী চাঁদা তুলছে শিমরাইল বিদ্যুৎ অফিসের সামনেও। এতে পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। ঈদের পূর্বে র‌্যাব তার সিন্ডিকেটের জহিরসহ ১৪ চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করলেও আব্দুস সামাদ বেপারী থেকে যায় অধরা। তার নির্দেশে তার বাহিনী শিমরাইল প্রতিদিন উত্তোলন করছে প্রায় লাখ টাকার চাঁদা। আদমজী জুট মিল বন্ধ হওয়ার পর আদমজীর এক কালের লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান আব্দুস সামাদ বেপারী ওরফে লেতুর সামাদ ওরফে গিরিঙ্গী সামাদ কয়েকদিন বেকার হয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরাফেরা করতে থাকে। পরবর্তীতে মাসুদ নামে আরেক শ্রমিক নেতার সাথে জোট বেধে শ্রমিক নেতাগিরি শুরু করে। এর মধ্যদিয়ে বিভিন্ন কমিটি তৈরী করে অর্থের বিনিময়ে নেতা বানিয়ে ও সভার নামে উত্তোলন করতে থাকে চাঁদা। এক পর্যায়ে নাসিক ১ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মঈনকে ও মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে কাঁচপুর ও আদমজী ইপিজেডে বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করে। এক পর্যায়ে আব্দুস সামাদ বেপারী নুর হোসেনের ছত্রছায়ায় চলে যায়। সেখান থেকে শিমরাইল মোড়ে তার বাহিনি দিয়ে শুরু করে চাঁদাবাজী। সেই থেকে আব্দুস সামাদ বেপারী ওরফে লেতুর সামাদ ওরফে গিরিঙ্গী সামাদকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এক পর্যায়ে নাসিক শিমরাইল মোড়ে পরিবহন স্টান্ডগুলো ইজারা দিলে ইজারা নেয় সামাদ বেপারী ওরফে গিরিঙ্গী সামাদ। নাসিক কর্তৃপক্ষ পরিবহন স্টান্ড ইজারা দিলেও সামাদ বেপারী গ্রুপ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ও শিমরাইল-নারায়ণগঞ্জ সড়কে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করত। এতে করে সাবেক ওসি আলাউদ্দিন তার বাহিনীর একাধিক চাঁদাবাজকে গ্রেফতারও করেছিল। তাকে ওসি আলাউদ্দিন এভাবে চাঁদাবাজি করতে নিষেধ করেছিল। পরবর্তীতে সে আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে নিয়ে সুপারিশ করিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে বিতর্কিত করায়। সেভেন মার্ডারের পর নুর হোসেন ও তার লোকজন এলাকা ছেড়ে চলে গেলে সকল চাঁদাবাজী তার নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। গত দেড় বছরে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে যায় সামাদ বেপারী ওরফে গিরিঙ্গী সামাদ। বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে মহড়া দিচ্ছে শীর্ষ ঐ দুই নেতাকে বিতর্কিত করে গিরিঙ্গী সামাদ ফায়দা হাসিল করার জন্য। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, লেতুর সামাদ বিগত দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে না থাকলেও বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তার রয়েছে কাঁচপুরের বিসিকে বিএনপি নেতা মঈনের সাথে ব্যবসা। আদমজী ইপিজেডেও বিএনপির এক নেতার সাথে তার ব্যবসা রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা অবিলম্বে সুবিধাভোগী সামাদ বেপারীর শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজী বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলছেন সে পর্দার অন্তরালে থেকে তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পূর্বের ন্যায় চাঁদাবাজী করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :

Post a Comment