খুলনায় জোড়া খুন
এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে
খুলনা ব্যুরো : এক্সিম ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করার পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এক মাস আগেই ধর্ষকরা এ পরিকল্পনা করে। সোমবার দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম আয়শা আক্তার মৌসুমীর আদালতে এমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন এ মামলায় গ্রেফতার যুবক মো. লিটন।
জবানবন্দী শেষে আদালত লিটনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
এর আগে, শুক্রবার রাতে নগরীর বুড়ো মৌলভীর দরগার পাশে ৩নং সড়কে ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা ও তার বৃদ্ধ বাবা ইলিয়াস চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, রবিবার রাতে গল্লামারি এলাকা থেকে মো. লিটনকে আটক করা হয়। এই এলাকায় তার বাড়ি হলেও সে ঢাকায় সদরঘাট এলাকায় জুতার দোকানে চাকরি করে। এলাকায় বখাটে ও মাদকসেবী হিসেবে লিটনের পরিচিতি রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার দুপুরে লিটনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সে মহানগর হাকিম আয়শা আক্তার মৌসুমীর খাস কামরায় জবানবন্দী দেন।
এদিকে লবণচোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, লিটন জবানবন্দীতে জানায় সেসহ ৫ জন পারভীনকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে। অনেকদিন ধরেই তারা পারভীনের ওপর নজর রাখছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর তারা ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে পারভীনের বাবাকে হত্যা করে। এরপর একে একে পাঁচজন পারভীনকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে হত্যা করে বাবা ও মেয়ের লাশ সেপটিক ট্যাংকে রেখে তারা ওই বাড়ি তালা দিয়ে রাত নয়টার দিকে বেরিয়ে আসে।
লিটন তার জবানবন্দীতে আরও বলেন, ঘটনার এক মাস আগে তারা পারভীনকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। তারা রাস্তায় আগে থেকেই পারভীনকে উত্ত্যক্ত করত ও বিভিন্ন অশালীন কথা বলত। পারভীন তাদের পাত্তা না দিলে তারা ধর্ষণের এ পরিকল্পনা করে। পরে তাদের চিনে ফেলায় তাকেও হত্যা করা হয়।
এর আগে পুলিশের কাছে মো. লিটন জানায় পারভীন সুলতানার ধর্ষণের চিত্র তারা ধারণ করেছে। পুলিশ সেই ভিডিওচিত্র উদ্ধার ও বাকি চার আসামির সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। কম্পিউটারটিও তারাই চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছে লিটন।
0 comments :
Post a Comment