সিদ্ধিরগঞ্জে বাস ডাকাতির ঘটনা প্রকাশ করায় সন্ত্রাসী বাদলের ভাই ডাকাত শাহিন ও ফয়সালের প্রহারে পরিবহন শ্রমিক সাদ্দাম-মামুন হাসপাতালে

সিদ্ধিরগঞ্জে বাস ডাকাতির ঘটনা প্রকাশ করায় সন্ত্রাসী বাদলের ভাই 

ডাকাত শাহিন ও ফয়সালের প্রহারে  পরিবহন শ্রমিক সাদ্দাম-মামুন 

হাসপাতালে

সিদ্ধিরগঞ্জে বাস ডাকাতির ঘটনা প্রকাশ করায় সন্ত্রাসী বাদলের ভাই  ডাকাত শাহিন ও ফয়সালের প্রহারে  পরিবহন শ্রমিক সাদ্দাম-মামুন  হাসপাতালে
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সাদ্দাম হোসেন ও মামুন নামে দু‘পরিবহন শ্রমিককে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত করেছে ডাকাতরা।যাত্রীবাহী একটি বাসে ডাকাতি করার ঘটনা প্রকাশ করে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে নূর হোসেনের ভাতিজা শাহীনের নির্দেশে ডাকাত আলমগীর ও তার সহযোগীরা গত শনিবার রাত ৮ টায় তাদেরকে শিমরাইল মোড় থেকে ধরে নূর হোসেনের বাড়িতে নিয়ে লোহার রড ও হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।আহতদের স্থানীয় সুগদ্ধা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ জানা গেছে, হীরাঝিলের ডাকাত আলমগীরের নেতৃত্বে নূর হোসেনের বড় ভাই নূর ইসলাম ওরফে বড় মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী শাহীন, নূর হোসেনের ভগ্নিপতি আলম ওরফে জামাই আলমের ছেলে ফয়সাল, পাইনাদী নতুন মহল্লার ইব্রাহীম, মুক্তিনগরের মোক্তার সিআইখোলার কবির ও কুমিল্লার আউয়াল গত ৫ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা উত্তর বঙ্গ গামী ভলেশ্বর পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৩৬১১) একটি যাত্রীবাহী বাসে ঢাকাতি করে। ডাকাতরা বাসের ক্যাশ ২৭ হাজার ৩‘শ টাকা ও সুপারভাইজারের কাছ থেকে ২ টি ও হেলাপারের ১ টি মোবাইল সেট লুট করে।ওই বাসের শিমরাইল মোড়ে দায়িত্বরত চেকার সাদ্দাম হোসেন মালিকের কাছে ডাকাতদের নাম বলে নেয়।মালিক পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানালে ডাকাতদের গ্রেফতার করতে শিমরাইলস্থ নূর হোসেনের বাড়িতে শুক্রবার সন্ধায় অভিযান চালায় পুলিশ।এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নূর হোসেনের ভাতিজা শাহীন, ভাগিনা ফয়সাল সিনতিয়া মাছের খাবারের পানিতে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়।ডাকাতদের নাম প্রকাশ করে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার রাত ৮ টায় রেন্ট-এ কার ষ্ট্যান্ড থেকে ওই বাসের চেকার সাদ্দাম হোসেন ও শ্রমিক মামুনকে ডাকাত কবির ও আলমগীর তাদের বাহিনী ধরে নিয়ে যায় নূর হোসেনের বাড়ীতে।সেখানে নিয়ে নূর হোসেনের ভাতিজা শাহীন ও ভাগিনা ফয়সালসহ ওই সঙ্গবদ্ধ ডাকাত দল সাদ্দাম ও মামুনকে লোহার রড এবং হকিষ্টিক দিয়ে পিটায়। সাদ্দামের দু,পা হাত ও মাথায় আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়।মামুন রক্তাক্ত না হলেও তাকে বেধরক ভাবে পিটিয়েছে।এসময় তাদের আতœচিৎকারে চেয়ারম্যান বাড়ীর আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ডাকাতরা সাদ্দাম ও মামুনকে বভিষ্যতে আর কখনো মুখ না খোলার জন্য সতর্ক করে দিয়ে ছেড়ে দেয়।পরে গুরুতর আহত সাদ্দাম ও মামুনকে তাদের পরিচিত পরিবহন শ্রমিকরা রাত ১০ টায় সুগন্ধা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।সাদ্দামের পায়ের হাড় ফেটে গেছে।গুরুতর আহত সাদ্দাম হোসেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার নূরবাগ এলাকার মোঃ নাসির উদ্দিনের ছেলে।সে বন্দর থানা এলাকার বাসিন্দা।আর মামুন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নিমাইকাশারী এলাকার আবু সাইদের ছেলে।এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় আহতদের স্বজনরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ডাকাত আলমগীরের নেতৃত্বে শিমরাইল মোড়ে সঙ্গবদ্ধ একটি ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্র গড়ে উঠেছে। আলোচিক নূর হোসেনের ভাতিজা শাহীন, ভাগিনা ফয়সাল,ডাকাত কবির,মোক্তার, আউয়াল ও ইব্রাহীমসহ ১০/১২ জনের এ চক্রটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত সড়কের মধ্যে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ছিনতাই করছে।এ চক্রটি প্রতিদিনই কোন না কোন বাসের ক্যাশ লুট করছে।পাশা পাশি চাঁদা বাজিও করছে তারা।চাঁদা দিতে রাজি না হলেই চালক হেলপার,সুপারভাইজার ও কন্ট্রাকটারকে মারধর ক্যাশ লুটের ঘটনা ঘটাচ্ছে আলমগীর বাহিনী।পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা এসব ঘটনা থানা পুলিশকে জানালেও রহস্য জনক কারণে ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করছে না বলে পরিবহন মালিকদের অভিযোগ।

About Unknown

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :

Post a Comment